“আলমগীর সাহেব, সরকার সন্ত্রাসী ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। সন্ত্রাসীদের ধরার জন্য, সেই সন্ত্রাসীরা যদি আপনার দলের থাকে, সেই সন্ত্রাসী যদি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হয়- তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।” রাজনৈতিক পরিচয়ে সন্ত্রাসী হিসেবে কাজ করলে সরকার কোনো ছাড় দেবে না- জানিয়ে তিনি বলেন, “বহু সহ্য করেছি। বহু ছাড় দেওয়া হয়েছে।”
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে শহরে ‘না পেরে’ গ্রাম-গঞ্জে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর অভিযোগ করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল বলেন, “শহরে পারে না, এখন গ্রামে-গঞ্জে গেছে- সন্ত্রাস করা জন্য।
“আজকে গোপন তৎপরতা, গুপ্ত তৎপরতা চালাচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালাচ্ছে, নিরীহ ধর্মযাজকদের হত্যা করছে।” ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের কাউকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না- দাবি করে কামরুল ইসলাম বলেন, “বাটি চালান দিলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু এরা আছে। ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা সারা দেশে জঙ্গি তৎপরতা চালানোর জন্য তৎপর রয়েছে।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের মামলা প্রায় ‘শেষ পথে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এদের ভবিষ্যৎ কী হবে- তারা জানে না। আজকে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে দেশটাকে ধ্বংস করতে।”
বিএনপি বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে অভিযোগ করে কামরুল ইসলাম বলেন, “যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের অতীত ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, তারা জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আপনারা তাদের সঙ্গে কাজ করছেন।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “শিক্ষা বলেন, খাদ্য বলেন, কৃষি বলেন, বিদ্যুৎ বলেন- প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যেটা কল্পনাও করতে পারেনি বাংলাদেশের মানুষ।”
শেখ হাসিনা বিশ্ব রাজনীতির ক্ষেত্রেও সফল হয়েছেন মন্তব্য করে কামরুল ইসলাম বলেন, “যারা এই সফলতা সহ্য করতে পারে না, … তারাই বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
“এরা ষড়যন্ত্রের কোন পর্যায়ে চলে গেছে কল্পনাও করতে পারবেন না। বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে এই বিএনপি-জামায়ত গাটছাড়া বেঁধে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে।”
এসময় শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ‘এসব সন্ত্রাসী ও ষড়যন্ত্রকারীর’ বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা।
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 মন্তব্য(গুলি):